চুলের আগা ফাটার কারণ:
১. রুক্ষতা – পর্যাপ্ত যত্নের অভাবে চুল শুষ্ক হয়ে যায়, ফলে আগা ফাটতে শুরু করে।
২. চুলে পুষ্টির অভাব – প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেলের অভাব চুল দুর্বল করে তোলে।
3. অতিরিক্ত আঁচড়ানো – বারবার জোরে চুল আঁচড়ালে এটি দুর্বল হয়ে ভেঙে যেতে পারে।
4. অপরিষ্কার চুল – নিয়মিত চুল পরিষ্কার না করলে ধুলাবালি জমে চুলের ক্ষতি করে।
5. নিয়মিত চুলের আগা না কাটা – প্রতি ২-৩ মাস পর চুলের আগা কাটতে না পারলে ফাটা বেড়ে যায়।
6. সুষম খাদ্যের অভাব – স্বাস্থ্যকর খাবার না খেলে চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়।
চুলের আগা ফাটা প্রতিরোধে করণীয়
১. সঠিক পরিচর্যা:
- ভেজা চুলে জোরে আঁচড়াবেন না, এতে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায়।
- মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করুন এবং ধৈর্য সহকারে চুল আঁচড়ান।
- ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধোয়ার অভ্যাস করুন।
- চুল ধোয়ার পর স্কার্ফ ব্যবহার করুন, যাতে ধুলাবালি চুলে জমতে না পারে।
২. পুষ্টিকর খাবার খাওয়া:
- প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যেমন দুধ, ডিম, মাছ, মাংস নিয়মিত খান।
- পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং মিনারেল ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল গ্রহণ করতে পারেন।
- সুপারভিট এম বা ভিটামিন ই ক্যাপসুল ২-৩ মাস খেলে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
৩. যা করা যাবে না:
- অতিরিক্ত হিটিং টুলস (হেয়ার ড্রায়ার, আয়রন) ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।
- গভীর রাতে জাগার অভ্যাস ত্যাগ করুন, কারণ এটি চুলের বৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
- ক্লোরিনযুক্ত বা আয়রনসমৃদ্ধ পানি দিয়ে চুল ধোয়া থেকে বিরত থাকুন।
প্রাকৃতিক উপায়ে চুলের আগা ফাটা প্রতিরোধ
✅ কলা প্যাক:
- ১টি পাকা কলা, ২ চামচ টক দই, ১ চামচ গোলাপজল ও ½ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন।
- এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
✅ ডিম মাস্ক:
- ১টি ডিমের সঙ্গে ৩ চামচ আমন্ড বা অলিভ অয়েল মেশান।
- ১ চামচ মধু দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে হেয়ার মাস্ক তৈরি করুন।
- এক ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন।
✅ পেঁপে প্যাক:
- আধা কাপ টক দইয়ের সঙ্গে ১টি পেঁপে ব্লেন্ড করে চুলে লাগান।
- ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে নিন।
✅ মধুর হেয়ার মাস্ক:
- ১ চামচ মধুর সঙ্গে সামান্য টক দই মিশিয়ে ২০ মিনিট চুলে রেখে দিন।
- শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
✅ মসুর ডালের প্যাক:
- রাতে ১ কাপ মসুর ডাল ভিজিয়ে রেখে সকালে মিহি করে ব্লেন্ড করুন।
- ১ চামচ মেথি গুঁড়া ও ১ কাপ টক দই মিশিয়ে হেয়ার প্যাক তৈরি করুন।
- ২ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করুন।